পিত্তপাথর
আমাদের পেটের ডান দিকে যকৃতের পেছনে ও নিচের
দিকে থাকে পিত্তথলি । পিত্তরস তৈরি করাই এর কাজ । খাবার হজম করা, বিশেষ করে চর্বি
জাতীয় খাবার হজম করতে পিত্তরস দরকার হয়।
পিত্তথলিতে অথবা পিত্তনালীতে পিত্তরস জমাট বেধে পাথর সৃষ্টি হয়। পিত্তকোষ
হতে সঞ্চিত পিত্তরস পিত্তনালী দিয়ে ক্রমে ক্রমে ক্ষুদ্রান্তের প্রথমাংশ বা
ডিউডেনামের মধ্যে প্রবাহিত হয়। পিত্তকোষের বা পিত্তনালীর প্রদাহ জনিত কারনেই এই
পিত্ত প্রবাহ বিঘ্নিত হতে পারে । ফলে পিত্তরস জমাট বেধে যায় এবং ধীরে ধীরে পাথর
সৃষ্টি হয় ।
কোলেস্টেরল , বিলিরুবিন বা ক্যালসিয়াম ইত্যাদি পদার্থের সংমিশ্রণে তৈরি এই পাথর গুলো পিত্তরসের সঙ্গে মিশানো অবস্থায় থাকে । এই পাথর বিভিন্ন আকারের এবং বিভিন্ন রঙের হতে পারে। ওজনাধিক্য ব্যক্তিদের পিত্তথলিতে পাথর হতে বেশি দেখা যায় । পুরুষের তুলনায় নারীদের এই প্রবনতা বেশি। সাধারণত মেয়েদের দেহে অধিক মাত্রায় ইস্ট্রজেন হরমোনের উপস্থিতি পিত্তরসে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং পিত্তথলির সংকোচন প্রসারণের মাত্রা কমিয়ে দেয় । জন্ম নিয়ন্ত্রন বড়ি , খাদ্যাভ্যাস, চর্বি যুক্ত খাদ্য বেশি গ্রহণ , মানসিক পরিশ্রম করা ইত্যাদি এই ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় । লক্ষণঃ
কোলেস্টেরল , বিলিরুবিন বা ক্যালসিয়াম ইত্যাদি পদার্থের সংমিশ্রণে তৈরি এই পাথর গুলো পিত্তরসের সঙ্গে মিশানো অবস্থায় থাকে । এই পাথর বিভিন্ন আকারের এবং বিভিন্ন রঙের হতে পারে। ওজনাধিক্য ব্যক্তিদের পিত্তথলিতে পাথর হতে বেশি দেখা যায় । পুরুষের তুলনায় নারীদের এই প্রবনতা বেশি। সাধারণত মেয়েদের দেহে অধিক মাত্রায় ইস্ট্রজেন হরমোনের উপস্থিতি পিত্তরসে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং পিত্তথলির সংকোচন প্রসারণের মাত্রা কমিয়ে দেয় । জন্ম নিয়ন্ত্রন বড়ি , খাদ্যাভ্যাস, চর্বি যুক্ত খাদ্য বেশি গ্রহণ , মানসিক পরিশ্রম করা ইত্যাদি এই ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় । লক্ষণঃ
১ প্রচণ্ড ব্যাথা ওপর পেটের ডান দিক হতে
চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে । পেটের পেছনে, মাঝে, ডানদিকে, কাঁধে এমনকি বুকের ভিতরে ব্যাথা
ছড়িয়ে পড়তে পারে।
২ বমি হতে পারে ।
৩ শ্বাস প্রশ্বাসে কষ্ট হতে পারে।
৪ অনেক ক্ষেত্রে রোগীর জন্ডিস হতে পারে।
পিত্তথলিতে পাথর হলে ক্যান্সার সহ বেশকিছু জটিলটা তৈরি হতে পারে। ওপরের
লক্ষণ গুলো প্রকাশ পেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিৎ ।
No comments:
Post a Comment