গর্ভবতী মায়ের পরিচর্যা
![]() |
গর্ভাবস্থায় নিয়মিত
এই পরীক্ষা
করতে হবে
দেখার জন্য
যে বাচ্চা
বা মায়ের
কোন সমস্যা
হচ্ছে কিনা।
০১. ১৬ সপ্তাহের
মধ্যে – রক্তশূন্যতা,
সিফিলিস, প্রসব
জনিত কোন
জটিলতা আছে
কিনা।
জন্ম পরিকল্পনা
ও স্বাস্থ্য
শিক্ষাও নিতে
হবে।
০২. ২৪ থেকে
২৮ সপ্তাহের
মধ্যে- বাচ্চা
ঠিক মত
বাড়ছে কিনা,
পেটের বেড়ে
যাওয়া অংশ
মেপে পরীক্ষা
করাতে হবে।
০৩. ৩২ তম
সপ্তাহে- এক্লামশিয়া
( উচ্চ রক্ত
চাপ, প্রস্রাবে
প্রোটিন যাওয়া,
হাত পা
ফুলে যাওয়া
আছে কিনা
),
০৪. ৩৬ তম
সপ্তাহে -বাচ্চার
পজিশন, জরায়ুতে
কীভাবে আছে,
মাথা নাকি
পা বা
শরীরের অন্য
অংশ নীচের
দিকে তা
জানতে হবে।জন্ম
পরিকল্পনার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
খাদ্যঃ গর্ভাবস্থায়
প্রতিদিন ৩ বেলা খাবারের সাথে নিয়মিত
কমপক্ষে এক মুঠ বেশি খাবার খেতে হবে। রান্নায় যথেষ্ট
পরিমান তেল ব্যবহার করতে হবে । মাকে এ সময়
পুষ্টিকর, সহজপাচ্য ও অধিক
আমিষ বা প্রোটিনযুক্ত
খাবার খেতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে খাদ্য তালিকায় শাক-সব্জি এমন পরিমানে যেনো রাখা
হয় যাতে ভিটামিন এর অভাব না হয়। আয়োডিন
যুক্ত লবন খেতে হবে।
বিশ্রাম ও ঘুমঃ একজন
গর্ভবতী মাকে একটি সুস্থ্য সন্তান জন্ম দেবার জন্য কিছুটা বাড়তি বিশ্রাম ও
ঘুমানোর প্রয়োজন রয়েছে। দিনে ২ ঘন্টা ঘুম সহ দৈনিক নুন্যতম ১০ ঘন্টা ঘুমানো
মায়ের জন্য অত্যাবশ্যকীয়।
স্তনঃ এসময় স্তন সামান্য
বড় হতে পারে, স্তনের বোটায় ও কিছু
পরিবর্তন আসে, স্তন সামান্য টনটন করাটাও
স্বাভাবিক। এসব কারন মাথায় রেখে স্তনের বিশেষ যত্ন নিতে হবে।
যৌন মিলনঃ গর্ভের প্রথম
তিন মাসে যৌন মিলন না করাই উত্তম। গর্ভের শেষ ৬ সপ্তাহ ও যৌন মিলন থেকে বিরত থাকতে
হবে। তবে এ নিয়ে কোনো সমস্যা দেখা দিলে আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বিশেষ ভাবে
মিলন করা যেতে পারে।
ভ্রমনঃ সম্ভব হলে গর্ভের
প্রথম তিন মাস যে কোনো ধরনের লম্বা ভ্রমন এড়িয়ে চলা উচিত।
টিকা :গর্ভের শুরুতেই
টিটেনাস এর টিকা নিয়ে নিতে হবে। এই টিকা নেয়ার কারনেসন্তানের কোনো ক্ষতি হবার
সম্ভাবনা নেই বরং না নিলে প্রসবের সময় ঝুকির সম্ভাবনা থেকে যায়।
গোসল ও পোশাকঃ দৈনিক গোসল
করার অভ্যাস করতে হবে। ঢিলে ঢালা আরাম দায়ক পোশাক পরিধান করার জন্য সব চিকিৎসকই
মা’দের উপদেশ দিয়ে থাকেন।
বিবিধ :পায়ে পানি আসা, উচ্চ রক্তচাপ, প্রসাব কমে যাওয়া, পেটের উপর দিকে ব্যথা , মাথা ঘুরানো বা মাথা ব্যথা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই সাথে সাথে আপনার
চিকিৎসক কে জানাবেন।
ভারী কাজঃ টিউবওয়েল চাপা, ধান ভানা, ভারী জিনিষ তোলা,
অতিরিক্ত/ভারী কাপড় ধোয়া থেকে বিরত থাকতে হবে
এবং কষ্টকর পরিশ্রম বর্জন করতে হবে।
প্রাপ্ত বয়ষ্ক মহিলার
অপুষ্টিতে ভোগার পরিণতি: রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা কমে যায় , কর্মক্ষমতা কমে
যায়,
শারীরিক গঠন ছোট হওয়ার
কারণে সন্তান প্রসবে জটিলতা ও বিপদ দেখা দেয়, প্রসবকালীন ও প্রসব-
পরবর্তী জটিলতা এবং রক্তক্ষরণের ফলে মায়ের মৃত্যু ঝুঁকি
এবং নবজাতকের মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায় ।
No comments:
Post a Comment